রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা র্যাডিসন ব্লু হোটেলের পাশ দিয়ে রাস্তায় চলাচলকারী মিরপুরগামী বাস বাছাই করে ভাঙচুর করে। সহপাঠীদের নির্মমভাবে হারানোর বেদনায় ফ্লাইওভারে উঠা গাড়িগুলোকেও দুমড়ে-মুচড়ে দেয় তারা। পুরো রাস্তায় কেবল গাড়ির কাঁচ আর কাঁচ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, আজ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে ১ম বর্ষের ছাত্রী দিয়া আখতার মিম ও ২য় বর্ষের ছাত্র রেজাউল করীম রাজু নিহত হন। আহত হন ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা বাসে উঠার জন্য ফ্লাইওভারের গোড়ায় ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এলে শিক্ষার্থীরা তাতে ওঠার চেষ্টা করে। ওই বাসকে যাত্রী নিতে দেখে পেছন থেকে আসা জাবালে নূর পরিবহনের আরেকটি বাস দ্রুত গতিতে বাম পাশ দিয়ে ঢুকে ফুটপাতে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। এতে ফুটপাতের গাছটিও ভেঙে গেছে।
খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীরা এসে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং মিরপুর থেকে বনানী হয়ে গুলশান, উত্তরা ও কুড়িল হয়ে বাড্ডার দিকে আসা অর্ধ শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। এ সময় ওই অঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।